ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি টিম যৌথ অভিযান চালিয়ে রাজধানীর উত্তরা এলাকার একটি বাড়ি থেকে নগদ ১ কোটি ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা,বিপুল পরিমাণ বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা ও ২টি প্রাইভেটকারসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতাররা হলেন শাহজাদা খান সাজ্জাদ,মো.তৌজিদুল ইসলাম ও মো.সাইফুল ইসলাম।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গোপন তথ্য ছিল যে উত্তরার ৭ নং সেক্টরের ২৩ নং রোডের ৭ নং বাড়িতে পুলিশের বুলেটপ্রুভ জ্যাকেটসহ অস্ত্র গুলি রয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল সেনাবাহিনী ও উত্তরা পশ্চিম থানার একটি যৌথ টিম ঐ বাসায় স্থানীয় সাক্ষীসহ প্রবেশ করে। সেখানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান টাকা ও বৈদেশিক মুদ্রাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে।
তিনি আরও জানান,এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ কোটি ১৬ লাখ ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা, ৬৫ টি ১০০ ইউএস ডলারের নোট, ৪ টি ২০ ইউএস ডলারের নোট, ১ টি ০৫ ইউস ডলারের নোট, ১ টি ১ ইউএস ডলারের নোট, ৪১ টি ১০০০ থাইবাথ নোট, ১১ টি ১০০ থাইবাথ নোট, ২ টি ৫০০ খাইবাথ নোট, ২৮ টি ২০ থাইবাথ নোট, ৩ টি ৫০ থাইবাথ নোট, ২০ টি ৫০০ দেরহামের নোট, ১ টি ১০০ দেরহামের নোট, ১ টি ২০ দেরহামের নোট, ৩ টি ১০ দেরহামের নোট, ২ টি ০৫ দেরহামের নোট, ৫ টি ১০০ কানাডিয়ান ডলারের নোট, ২ টি ১০ সিঙ্গপুর ডলারের নোট, ১ টি ২ সিঙ্গপুর ডলারের নোট, ১ টি ১০০ রিয়ালের নোট, ২ টি ৫০ রিয়ালের নোট, ২ টি ১০ রিয়ালের নোট, ৩ টি ৫ রিয়ালের নোট, ১ টি ১ রিয়ালের নোট, ১ টি ২ হাজার রুপির নোট, ৬০ টি ৫০০ শত রুপির নোট, ১ টি ২০০ শত রুপির নোট, ৫ টি ১০০ শত রুপির নোট, ৫ টি ৫০ রুপির নোট, ৪ টি ২০ রুপির নোট, ৬ টি ১০ রুপির নোট, ৩ টি নেভি ব্লু রংয়ের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট যাদের সামনে ও পিছনে উভয় পাশে ইংরেজিতে পুলিশ লেখা ও ২টি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন,বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট গুলো পলাতক ঢাকা-১৮ এর সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসান ও তার ছেলে পলাতক আবির হাসান তামিমসহ গ্রেফতার গত ৫ আগস্টের আগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিভিন্ন সময় ব্যবহার করতো। যে বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয় সেটি সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসান এর ছেলে আবির হাসান তামিম এর শশুর বাড়ি বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা জানায় জব্দ টাকা,বৈদেশিক মুদ্রা ও গাড়ি ২টি সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসান ও তার পরিবারের সদস্যদের।
ডিআই/এসকে