রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানার মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক একমাত্র আসামী মজনুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ডিএমপি জানায়, শনিবার মধ্যরাতে কুড়াতলী বিআরটিসি বাস কাউন্টারের পিছনে রেল লাইনের পাশ থেকে তাকে গ্রেফতার করে খিলক্ষেত থানার একটি টিম। গ্রেফতারের পর তাকে ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মজনু গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে বন্দি ছিলেন। কিন্তু গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর কারাগারে হামলার সময় সে কারাগার থেকে পালিয়ে আত্মগোপন করে। এ ঘটনায় গাজীপুর কাশিমপুর থানায় তার নামে আরো একটি মামলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর কুর্মিটোলায় নির্জন সড়কের পাশে ধর্ষণের শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী। পরদিন ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন তাঁর বাবা। ধর্ষণের খবর ছড়িয়ে পড়লে ধর্ষকের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়। পরে দেশজুড়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনবিরোধী আন্দোলন এবং ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবি ওঠে। ওই শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনার তিন দিন পর মজনুকে (৩০) গ্রেফতার করে র্যাব। মজনুর ছবি ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীর কাছে পাঠালে তিনি তাঁকে শনাক্ত করেন। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৬ মার্চ শুধুমাত্র মজনুকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। বিচারিক কার্যক্রম শেষে ওই বছরের ১৯ নভেম্বর ঢাকার সপ্তম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার আলোচিত এ মামলায় মো. মজনুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে।
ডিআই/এসকে