শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মতামত: আজ বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস Logo দুর্গাপূজা ঘিরে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে সহ্য করা হবে না: আইজিপি Logo পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে ডিএমপি কমিশনার Logo দেড় হাজার টাকার জন্য ফুফাতো ভাইকে হত্যা করে কাশবনে লাশ ঘুম,কিশোর গ্রেফতার Logo পূজার নিরাপত্তায় সারাদেশে ২৪ ঘণ্টা সতর্ক দৃষ্টি রাখছে র‌্যাব: ডিজি Logo হাতিরঝিলে ফ্ল্যাট দখল নিয়ে দ্বন্দ,দীপ্ত টিভির কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ Logo টেকনাফে কোস্ট গার্ডের অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক ৩ Logo পূজার নিরাপত্তায় অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে নৌবাহিনী Logo নাগরিকের ৩৬৫ দিন নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo ডেভেলপার কোম্পানির মালিকের যোগসাজশে ক্রেতার টাকা ছিনতাই,গ্রেফতার ৬

ছাত্র হত্যা: ফেনী থেকে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২৫ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৩:২১ অপরাহ্ন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি চালিয়ে ফেনী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সরোয়ার জাহান মাসুদকে (২২) হত্যার অভিযোগে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে র‍্যাব-৭ এর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া থানা এলাকা থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার ব্যক্তি হলেন,মেজবাহ উদ্দিন মেজু (৪৪)। তিনি দাগনভূঁইয়া উপজেলার মাতুভূঞাঁ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ০৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,গত ৪ আগস্ট ফেনী জেলার মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। সেই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন শিক্ষার্থী সরোয়ার জাহান মাসুদ। সে সময় আওয়ামী লীগ নেতা মেজবাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছাত্র জনতার ওপর প্রকাশ্যে নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। গুলিতে নিহত হন মাসুদ। ১৫ আগস্ট এ ঘটনায় নিহতের মা ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

র‍্যাব-৭ এর কর্মকর্তারা জানান,এ ঘটনার ছায়া তদন্ত করছে র‍্যাব। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া থানার আমিনুল্লাহ মাদরাসা এলাকা থেকে মেজবাহ উদ্দিন গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে ফেনী মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ঘাতকদের পা ধরেও বাঁচানো যায়নি মাসুদকে :

৪ আগস্ট ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভে সরাসরি গুলি চালায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। গুলিতে গুরুতর আহত মাসুদকে দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে বেকেরবাজার নামক স্থানে ব্যারিকেড দিয়ে তাকে আবার পিটুনি দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘাতকরা। সে সময় তার সহপাঠিরা মাসুদকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য ঘাতকদের পা ধরেও রক্ষা পায়নি।

নিহতের ছোট ভাই আল সামির গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘটনার দিন আমিও মিছিলে ছিলাম। আমার ভাই ঢাকা থেকে বাড়িতে এসেই দেশরক্ষার মিছিলে শামিল হয়। আমরা কাছাকাছি থাকলেও হামলার সময় আলাদা হয়ে যাই। এর কিছুক্ষণ পর একজন আমাকে কল দিয়ে জানায় আমার ভাই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মহিপাল কলেজের সামনে পড়ে আছে।’

‘পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে বেকেরবাজারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দলীয় ক্যাডাররা আমাদের আটকে আবার পিটুনি দেয়। আমাকে লাথি কিলঘুসি দিলে আমি তাদের পা ধরে কান্নাকাটি করেছি। আমাকেসহ অন্যদের এলোপাতাড়ি মারধর করে তারা। পরে কোনোরকমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার মাসুদকে মৃত ঘোষণা করেন।’

নিহত মাসুদ ফেনীর প্রবাসী মো.শাহাজাহান টিপুর বড় ছেলে এবং ফেনী সরকারি কলেজের ডিগ্রি ১ম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

ডিআই/এসকে


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category