জামিনে থাকা জঙ্গি ও অন্যান্য অপরাধীরা যাতে কোন ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য তাদের ওপর পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটসমূহ সতর্ক ও কড়া নজরদারী করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো.ময়নুল ইসলাম। তিনি বলেছেন,জামিনে মুক্ত থাকা অপরাধীরা যদি তারা অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত হয় তাহলে তাদেরকে সাথে সাথে গ্রেপ্তারপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিয়মিত মনিটর করছে।
আইজিপি বলেছেন,বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে বাংলাদেশ পুলিশের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করলে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ পুলিশ বদ্ধপরিকর। এজন্য মঙ্গলবার পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো.ময়নুল ইসলাম জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশের সকল ইউনিটকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।
তিনি বলেন,জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’। বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ),কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি), এসবি, সিআইডি, র্যাব এবং জেলা পুলিশ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি নিয়মিত মনিটর করছে। দেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ যেন আর মাথা তুলতে না পারে সেজন্য জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে পুলিশ অত্যন্ত কঠোর ও সর্তক অবস্থানে রয়েছে।
আইজিপি আরও বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ দেশে স্বাভাবিক আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী যেকোনো কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কেউ দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অপচেষ্টা করলে পুলিশ অপরাধীকে গ্রেপ্তারসহ তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ডিআই/এসকে