রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

জেসমিন গংদের বিরুদ্ধে চট্রগ্রাম আদালতে দোকান লুট,চুরি ও মারধরের মামলা

খলিলুর রহমান / ৪৪ Time View
Update : শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪, ৩:৪২ অপরাহ্ন

বিবরণে ঝালকাঠি জেলার,কাঠালিয়া থানাধীন, পশ্চিম ছোনাউঠা গ্রামের, মৃত আব্দুর রহমান মুন্সীর পুত্র মামলার বাদী মোঃ আবু হানিফ হাওলাদার, বর্তমানে- চট্টগ্রাম জেলার, ইপিজেড থানাধীন ছোন্দলপাড়া,রেলবিট,”হানিফ শেফা বনাজী ঔষধালয়” এর স্বত্বাধিকারী, মামলার বাদী মো: আবু হানিফ হাওলাদার জানায় যে, ঘটনার তারিখ ও সময়- ২৯ জুলাই ২০২৪ খ্রি: বিকাল অনুমান ৫ ঘটিকা। ঘটনাস্থল-আমার দোকানঘর, ছোন্দলপাড়া, ইপিজেড, চট্টগ্রাম। প্রতিপক্ষ / বিবাদীগন (১)মোছাম্মৎ জেসমিন (৪২), স্বামী- মোঃ ফজলুর রহমান,(২)মোঃ ফজলুর রহমান (৪৮), পিতা- পিতা- মৃত আব্দুর রহমান মুন্সী, উভয় সাং- পশ্চিম ছোনাউঠা, পোঃ- আমুয়া, থানা- কাঠালিয়া, জেলা-ঝালকাঠি। বর্তমানে- লোকমান ভিলা, নীচতলা, রুম নং-২, বন্দরটিলা কাঁচা বাজারের পিছনে, রেলবিট, থানা- ইপিজেড, জেলা-চট্টগ্রাম।(৩) মোঃ বেল্লাল হোসেন (৩৭), পিতা- আল মামুন হাওলাদার
(৪)মোঃ বাঙ্গি হাওলাদার (২২), পিতা- আল মামুন হাওলাদার, উভয় সাং- পশ্চিম ছোনাউঠা, পোঃ- আমুয়া, থানা- কাঠালিয়া, জেলা-ঝালকাঠি। বর্তমানে- উকিল বিল্ডিং, নীচতলা, জাইল্যাপাড়া, রেলবিট, থানা- ইপিজেড, জেলা- চট্টগ্রাম।

আমি মামলার বাদী একজন সহজ, সরল, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ধর্মপ্রাণ বনাজী ঔষধালয়ের ব্যবসায়ীক হই। দীর্ঘদিন অত্র এলাকায় অত্যন্ত সুনামের সাথে ব্যবসা করিয়া আসিতেছি। আসামীগন আমার আত্মীয় এবং চট্টগ্রামে ইপিজেড এলাকায় কসমেটিক্সের ব্যবসা করে।

আমি আমার গ্রামের নির্মিতব্য বাড়ি তদারকি করিতে গেলে পূর্ব থেকে বাড়িতে উপস্থিত থাকা ৩ ও ৪ নং আসামীগন সহ আমি বাদীকে মারপিট করিয়া চাঁদা দাবী এবং নির্মান সামগ্রীর ক্ষতিসাধন করায় বিগত ১৮ জুলাই ২০২৪ খ্রি:/ তারিখে ৩ ও ৪ নং আসামীসহ মোট ০৫ জনের বিরুদ্ধে ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া থানা আমলী আদালতে “দ্রুত বিচার মামলা নং- ৩৫/২০২৪, ধারা- আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) সংশোধন আইন ২০১২ সালের ২(খ) এর অ এর ১(অ) (ই) (ঈ) (উ) /৪ ও ৫ ধারায় মামলা অনয়ন করিলে বিজ্ঞ আদালত সন্তুষ্ট হইয়া তদন্তের জন্যে ডিবিতে প্রেরণ করেন।

পরবর্তীতে আমি আমার কর্মস্থল চট্রগ্রামে ফিরিয়া আসিলে ৩ ও ৪ নং আসামীগন চট্টগ্রামে আসিয়া মামলা করার মজা বুঝাইয়া দিবে এবং আমি চট্টগ্রাম শহরে কিভাবে ব্যাবসা করি দেখিয়া নিবে বলিয়া হুমকী দিতে থাকে।
“দ্রুত বিচার মামলা নং- ৩৫/২০২৪, ধারা- আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ আইনে ঝালকাঠীতে মামলা দায়েরের কারণে ক্ষুব্ধ হইয়া ৩ ও ৪ নং আসামীগন ৩ নং আসামীর শ্বাশুড়ি ১ নং আসামী এবং শ্বশুড় ২ নং আসামীকে নিয়া ঘটনার দিন অর্থাৎ গত ২৯ জুলাই ২০১৪ খ্রি: তারিখে বিকাল অনুমান ৫ ঘটিকার সময় আমি বাদীর বনাজী ঔষধালয়ের দোকানে আসিয়া ১ ও ২ নং আসামীগন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। একপর্যায়ে ১ নং আসামী দোকানে ঢুকিয়া আমার পরনের পাঞ্জাবী টানিয়া দোকানের বাইরে আনিয়া তার মেয়ের জামাতার নামে মামলা কেন করিয়াছি জানতে চাহিয়া এলাপাথাড়ি চড়-থাপ্পর এবং সেন্ডেল দিয়া পিটাইতে থাকে। ৩ ও ৪ নং আসামী দোকানে ঢুকিয়া দোকানের ঔষধের বয়ম এলোমেলো ছড়াইয়া ছিটাইয়া, ভাঙ্গিয়া আনুমানিক ১০,০০০/- টাকার ক্ষতিসাধন করে। ৩নং আসামী দোকানের ক্যাশ বাক্স খুলিয়া পূর্বের জমানো ১৫,০০০/- টাকা এবং বেচাবিক্রির ৫,০০০/- টাকা সহ মোট ২০,০০০/ টাকা লুট করিয়া নেয় এবং ১নং আসামী দৌড়াইয়া দোকানে ঢুকিয়া ক্যাশ থেকে পূর্বের দায়েরী মামলার ফটোকপি সহ কিছু মূল্যবান কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলে। আমার ডাক চিৎকারে আশেপাশের মুসুল্লি ও ব্যবসায়ীগন আগাইয়া আসিলে ১ নং আসামী সাক্ষী মোঃ রাসেলকে ধারালো কাঁচি দিয়া আঘাতের চেষ্টা করে। আরো লোকজন জড়ো হইতে থাকিলে ২ নং আসামীসহ অপরাপর আসামীগন ঝালকাঠিতে দায়েরী মামলা প্রত্যাহার না করিলে খুন, গুম, জখমের হুমকী দিয়া চলিয়া যায়। আসামীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে ১ নং আসামী মহিলাকে লেলাইয়া দেয়ায় আমি এবং সাক্ষীগন যথাযথ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহন করিতে পারেন নাই। আমি বর্তমানে আসামীদেও হুমকী ধমকীর কারনে মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছেন।

এ বিষয় আমি মাননীয়,চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, চট্টগ্রাম।(ইপিজেড থানা আমলী) সূত্রঃ সি আর মামলা নং- ৩৫৫ /২০২৪ খ্রি:,দায়ের করিলে, আমার মামলা খানা চট্রগাম জেলাধীন,ওসি ইপিজেড থানায় তদন্তধীন আছে। আমি স্হানীয় পুলিশ প্রশাসন,বিচার বিভাগ,পুলিশ কমিশনার মহোদয়,মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) মহোদয়,স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহোদয়, ও প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category