এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত তুলা উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত পরিচালক ড.শেফালী রাণী মজুমদার। গত ৬ আগস্ট থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিতে সংস্থাটির কর্মকান্ডে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে,সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া সাবেক সচিব ওয়াহিদা আক্তারের ঘনিষ্ট আজ্ঞাবাহক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী ড.শেফালী রাণী মজুমদার। বান্ধবী সচিব হওয়ায় শেফালী রাণী হয়ে উঠেছিলেন তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী।
শেফালী সিন্ডিকেটের আরেক সদস্য হলেন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ড.মো.ফখরে আলম ইবনে তাবিব। দুই কর্মকর্তা মিলে সিডিকি‘র সকল নিয়োগ বানিজ্য,অবৈধ পোস্টিংসহ বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছেন তারা।
৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বৈষম্যের শিকার কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন তুলা উন্নয়ন বোর্ড এর কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা নির্বাহী পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালকের বিরুদ্ধে মিছিল এবং অপসারন দাবী করেন। এরপর থেকেই পলাতক শেফালী রাণী মজুমদার। তার অনুপস্থিতির বিষয়টি সবারই জানা। এখন পর্যন্ত শেফালী ও তার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় নি মন্ত্রণালয়।
এদিকে শেফালী রাণীর অনুপস্থিতির কারণে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি সিদ্ধান্তের অভাবে আটকে রয়েছে। তুলা বপন কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। মাঠে তুলা উৎপাদনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আজ্ঞাবহ সচিব ওয়াহিদা আক্তারকে অপসারন করা হলেও তাঁর অবৈধ নিয়োগ প্রাপ্ত শেফালী রাণী ও তাবিবকে এখনও অপসারন করা হয়নি। এদুইজন কর্মকর্তাকে চলতি দায়িত্ব থেকে অপসারন করা না হলে তুলা উৎপাদন এবং সংস্থাটির অস্তিত্ব বিলীন হতে থাকবে বলে বৈষম্যের শিকার কৃষি মন্ত্রণালয় তুলা উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা।
ডিআই/এসকে