পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় আসামি রাব্বিকে (২৬) গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সোমবার সকালে গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়,শনিবার রাতে গার্মেন্টস থেকে ফেরার পথে স্ত্রী শাহিনা আক্তারকে (২৭) জোরপূর্বক ধরে নিয়ে বাঁশ ঝাড়ের নিচে ঝোপের ভেতরে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন রাব্বি।
এ হত্যাকাণ্ডের ৩৬ ঘণ্টা না পেরোতেই সোমবার সকালে গাজীপুরের শ্রীপুর থানাধীন ফরিদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-১ এর একটি দল।
র্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (অপস্ অ্যান্ড মিডিয়া অফিসার) মো.মাহফুজুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান,গত শনিবার শাহিনা আক্তার নিজের কর্মস্থল জে.এম ফেব্রিক্স ফ্যাক্টরি ছুটির পর বের হন। এরপর তার স্বামী রাব্বি তাকে অটোরিকশাযোগে জয়দেবপুর থানাধীন পশ্চিম ডগরী সাকিনস্থর বাঁশ ঝাড়ের নিচে ঝোপের মধ্যে নিয়ে যান। এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে আসামি তার সঙ্গে থাকা কাপড় গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মৃতদেহটি ঘটনাস্থলে ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা মো.কাজল মিয়া বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
র্যাব জানায়,ঘটনাটি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারিত হয় এবং এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত আসামিকে গ্রেফতারের জন্য র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকালে র্যাব-১-এর একটি আভিযানিক দল ও ইন্ট উইংয়ের সহযোগিতায় জানতে পারে যে,মামলার প্রধান আসামি মো.রাব্বি গাজীপুরের শ্রীপুর থানাধীন ফরিদপুর এলাকায় আত্নগোপনে আছে। পরবর্তীতে সেখানে অভিযান চালিয়ে রাব্বিকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি রাব্বি তার স্ত্রী শাহিনা আক্তারকে কাপড় দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মৃতদেহটি ঘটনাস্থলে ফেলে পালিয়ে যায় বলে স্বীকার করে।
আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গ্রেফতার আসামিকে জয়দেবপুর থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ডিআই/এসকে