শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অবরুদ্ধ ৬২ পুলিশ সদস্যদের হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধার করল র‌্যাব Logo একনজরে দুষ্কৃতকারী দুর্বৃত্তদের নজিরবিহীন তান্ডব* Logo প্রধানমন্ত্রীকে সাংবাদিকেরা শেখ হাসিনার সঙ্গে আছেন, প্রয়োজনে যেকোনো কিছু করতে প্রস্তুত Logo মাথিউরা ইউনিয়ন,পাঁচ কিলোমিটার সড়ক দীর্ঘ ২০-২৫ বছর থেকে সংস্কার হয়নি।ভোগান্তি Logo কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলায় জবর দখল করে বাড়িঘর ভেঙ্গে বিনা অধিগ্রহণে বেড়িবাঁধ নির্মাণ ঘরভাঙ্গা দিশেহারা মানুষের বুকফাটা আর্তনাদ Logo যুক্তরাজ্যের অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিয়ে নতুন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ পরিকল্পনা Logo Apuestas Deportivas En Vivo Apuestas En Línea Betpla Logo Сasino Siteleri 2024 ️ Canlı Online Casino Siteleri + Türkiye’deki Güvenilir Ve Popüler Casino Siteleri Logo En İyi Ve Güvenilir On Line Casino Siteleri Canlı Online Casino Siteleri 2024 Listesi Logo Güvenilir Casino Slot Machine Siteler

পাহাড়ে রক্ত নয় শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক জনগণের কল্যাণে

এম এইচ চৌধুরী / ২৪১ Time View
Update : শনিবার, ২২ জুলাই, ২০২৩, ৮:০৪ অপরাহ্ন

বান্দরবান পার্বত্য জেলার বহুল আলোচিত কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) ও সরকার দলীয় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ক্যাশৈ হ্লা মারমা কর্তৃক অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া শান্তি চুক্তি / অস্ত্রসমর্পণ বিষয়টি কি লোক দেখানো হবে না প্রকৃত ভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে তা এখন গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করার বিষয়। বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায় কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) যে সকল নামি দামি মারন অস্ত্র ব্যবহার করেছে তার সিংহভাগ হাতে রেখে নাম মাত্র কিছু অব্যবহৃত গাদাবন্দুক দিয়ে শান্তি চুক্তি করতে আগ্রহী হয়েছে। যা বিগত দিনে আলীকদম উপজেলার কুরুকপাতা বাজারে মুরুং ন্যাশনাল পার্টি (এমএনপি) আত্মসমর্পণ করার সময় হয়েছিল।
তখনকার সময়েও প্রধান দায়িত্বে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্যাশৈ হ্লা মারমা। পরবর্তী সেই অস্ত্র দিয়ে এলপি/মগ লিবারেশন পার্টি (মগ পার্টি)  প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। বর্তমান সরকারের জনগুরুত্বপূর্ণ বহু সংস্থা থাকলেও শান্তি প্রতিষ্ঠিতায় তাদের কোন মাথা ব্যাথা না থাকায় জেলা পরিষদ সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যস্ত। পার্বত্য চট্টগ্রামে রক্তের লেলিহান শিখা বন্ধ হোক, সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে ভাত্রিত্বের বন্ধনে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক এটা সবাই চায়,কিন্তু শান্তি প্রতিষ্ঠিতার নামে লোক দেখানো প্রোগ্রাম করে নতুন রূপে আরেক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটুক সেটা কেউ চায় না। চুক্তি ও শান্তি প্রতিষ্ঠিতার ক্ষেত্রে সকল প্রকার অবৈধ অস্ত্র সরকারি কোষাগারে জমা দানের মাধ্যমে গঠিত হোক নবদিগন্ত। শান্তি প্রতিষ্ঠিতার নামে ভূয়া চুক্তি করে কয়দিন পর অস্ত্র হাতে তুলে নিলে সামরিক বাহিনীর হাতে দিনের পর দিন জীবন দিতে হবে জেএসএস এর মতো। বান্দরবান পার্বত্য জেলায় বসবসরত ১১টি খুদ্র নৃ গোষ্ঠী হিসেবে যারা রয়েছে তারা আমাদের ভাই, বন্ধু, ছেলে মেয়ে, দায়িত্ব কাঁধে নিলে তা সঠিক ভাবে পালন করতে হবে।
কাউকে ঠকিয়ে আবার কাউকে জিতিয়ে সমস্যা ঝিয়ে রাখার মানে পাহাড়ে আজীবন রক্ত ঝরানোর সামিল। পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলা তথা বান্দরবান,রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি সকল সম্প্রদায়ের সিনিয়র নেত্রীবৃন্দদের সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক মানের শান্তি প্রতিষ্ঠিতা করা অতি জরুরি হয়ে পড়েছে। যে কোন সরকার ইচ্ছে করলে তা সম্ভব হবে। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র গুলো নিজ নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য কৌশল হিসেবে সন্ত্রাসের রাজত্ব করতে স্থান, অস্ত্র, প্রশিক্ষণ, টাকা সহ নানাবিধ সুযোগ সুবিধা দিয়ে তাদের দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে নিয়োজিত করে। ভারতের ত্রিপুরা, মিজোরাম, মনিপুর, অরুনাচল, নাগাল্যান্ড,আসাম প্রদেশ। মায়ানমারের – কাচিন, রাখাইন, আইক্কাফ, বুচিদং, প্রদেশ সমূহে প্রশিক্ষণ হয় যা বিগত দিনে বাংলাদেশ ও বিশ্বের বহু মিডিয়া প্রমাণ করে দিয়েছে। প্রস্তাবিত শান্তি প্রতিষ্ঠিতার তারিখে পাহাড়ে বসবাসরত সাধারণ মানুষের আশার প্রতিফলন ঘটুক শান্তি সমন্বয়ের মাধ্যমে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category