পুলিশে ঘুষ,চাঁদাবাজি,নিয়োগ,বদলি বাণিজ্যে জড়িত প্রমাণ হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো.জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। তিনি বলেন,’জনকল্যাণে কাজ করে নিজেদের পরিশুদ্ধ করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নবনিযুক্ত ২৬জন পুলিশ সুপারের উদ্দেশ্যে ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন,’ঘুষ ও চাঁদাবাজি হলো দুর্নীতির মূল উৎস। এটি বন্ধ করতে পারলে সমাজের অনেক অন্যায়-অনিয়ম দূরীভূত হবে,মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমবে,কৃষক ন্যায্যমূল্য পাবে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমবে ও সাধারণ মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।’
ঘুষ,চাঁদাবাজি ছাড়াও নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্যে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার হুশিয়ারি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন,পুলিশের আরেকটি বাণিজ্য রয়েছে তা হলো নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্য। সেটিও অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন,কোনো পুলিশ অফিসার এসবের সঙ্গে জড়িত প্রমাণিত হলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন,অপরাধী সে যেই হোক না কেন,সে অপরাধী। আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, অতীতের অনিয়ম,দুর্নীতির কারণে পুলিশ বাহিনীর প্রতি জনমনে যে ক্ষোভ জন্ম নিয়েছে,সেটি প্রশমনের দায়িত্বও পুলিশের। তিনি এসময় বিদ্যমান জনবল ও লজিস্টিক দিয়ে সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করার জন্য পুলিশ সুপারদের প্রতি আহ্বান জানান।
ডিআই/এসকে