সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার করে পারস্পরিক যোগসাজশে বিভিন্ন শ্রেণি ও সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা ও ঘৃণা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টসহ জনসাধারণের প্রতি সেবাদান বাধাগ্রস্ত করতে উস্কানিমূলক মন্তব্য ও বিদ্বেষ ছড়ানোর মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগে শাহজাহানপুর থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলায় দুই পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দমনে শেখ হাসিনা সরকারের হয়ে সবচেয়ে বেশি নৃশংস ভূমিকা রেখেছে পুলিশ। সরকার পতনের পর খোদ পুলিশ বাহিনী রাজনৈতিক ব্যবহার মুক্ত ও সংস্কারে আন্দোলনের ডাক দেয় বাহিনীর অধীনস্ত সদস্যরা। এ সময় কনস্টেবল শোয়াইবুর রহমানসহ আরো কিছু পুলিশ সদস্য বিগত সরকারের আজ্ঞাবহ কর্মকর্তাদের ইন্ধনে পুলিশ বাহিনীর মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত হয় বালে প্রাথমিক সুত্রে জানা গেছে বলে জানায় পুলিশ।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) কনস্টেবল শোয়াইবকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.খায়রুল ইসলাম।
তিনি বলেন,সাইবার ক্রাইম আইনে দায়েরও হওয়া একটি মামলায় শোয়াইবসহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
জানা গেছে কনস্টেবল শোয়াইব,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার করে পারস্পরিক যোগসাজশে বিভিন্ন শ্রেণি ও সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা ও ঘৃণা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টসহ জনসাধারণের প্রতি সেবাদান বাধাগ্রস্ত করতে উস্কানিমূলক মন্তব্য ও বিদ্বেষ ছড়ানোর মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগে শাহজাহানপুর থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে রুজুকৃত মামলার এজাহার নামীয় আসামি নায়েক সজিব সরকার ও কনস্টেবল শোয়াইবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়,প্রাথমিকভাবে জানা যায় কনস্টেবল শোয়াইবুর রহমানসহ আরো কিছু পুলিশ সদস্য বিগত সরকারের আজ্ঞাবহ কর্মকর্তাদের ইন্ধনে পুলিশ বাহিনীর মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল।
ডিআই/এসকে