বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৯ অপরাহ্ন

সোয়া ১ লাখ কোটি টাকা পাচার; এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে অনুসন্ধান শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৯ Time View
Update : শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৪, ৬:৫৯ অপরাহ্ন

এস আলম গ্রুপের মালিক মো.সাইফুল আলমসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রতারণা,জালিয়াতি, ওভার ইনভয়েস, আন্ডার ইনভয়েজ ও সংঘবদ্ধ অপরাধের মাধ্যমে হুন্ডি কার্যক্রম পরিচালনা করে প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের বিষয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

শনিবার (৩১ আগস্ট) অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম অনুসন্ধান শুরু করেছে। বিকেলে সিআইডিএ বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আজাদ রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন,সিআইডি বিভিন্ন সূত্র থেকে জানতে পেরেছে এস আলমসহ সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বাতিল করে মাত্র একদিনের ব্যবধানে বাংলাদেশেই পিআর গ্রহণ করেছেন। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও সাইপ্রাসসহ ইউরোপে বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচার করে নিজ ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের নামে স্থাবর/অস্থাবর সম্পদ ক্রয় ও ব্যবসা পরিচালনা করেছেন।

তিনি আরও বলেন,পাচার করা অর্থে প্রায় ২৪৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের‘ক্যানালি লজিস্ট্রিক প্রাইভেট লি.’নামক প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুরে প্রতিষ্ঠা করেছেন।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো.আজাদ রহমান বলেন,এছাড়া ভুয়া নথি তৈরি, জাল জালিয়াতি এবং প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিদেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানি ও বিনিয়োগের জন্য নামে-বেনামে ৬টি ব্যাংক থেকে ৯৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করে বিদেশে পাচার করেছেন।

এছাড়া বিদেশে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান‘শেল কোম্পানি’ খুলে অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে বিদেশে পাচার করেছেন।

সিআইডির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এস আলম, তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন,ছেলে আহসানুল আলম ও আশরাফুল আলমসহ তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় সংঘবদ্ধভাবে মানি লন্ডারিং অপরাধ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে।

এ বিষয়ে মানি লন্ডারিং আইন ও বিধি অনুযায়ী সিআইডি অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে।

ডিআই/এসকে


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category