২০১৮ সালে আইন হওয়ার পর দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের এই প্রথম আর্থিক সহায়তা দিল সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠান থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকজনের হাতে চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ কার্যক্রমের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৩৬ জনের পরিবার ও আহত ২৫ জনকে ক্ষতিপূরণের অর্থ দেওয়া হচ্ছে।
এখন থেকে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ধারাবাহিকভাবে তদন্ত করে ক্ষতিপূরণের অর্থ দেবে বিআরটিএ।
বিআরটিএ সূত্রে জানা যায়, ক্ষতিপূরণ পেয়েছে- এমন আবেদনকারীর মধ্যে আছে চট্টগ্রামের মাসুদুর আলমের (১৭) পরিবার। ২৫ এপ্রিল মানিকছড়িতে সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়।
সেদিন ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বড় বোনের বাড়িতে যাচ্ছিল সে।
তবে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কের মানিকছড়িতে এক অটোরিকশা ও মাহেন্দ্রর মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারায় সে।
তার চাচী রুবী আক্তার বলেন, তারা মে মাসেই আবেদন করে। সেই দুর্ঘটনায় তার পরিবারের আরেক সদস্য এনায়েত ইসলামও আহত হন।
ক্ষতিপূরণ পেয়েছে মোনতাহা আখতারের (১৮) পরিবার। চলতি বছর ঈদুল ফিতরের পর ২৫ এপ্রিল মানিকছড়িতে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। মে মাসে ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করে তার পরিবার।
বিআরটিএ সূত্রে জানা যায়, ১১ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন পড়ে ৪২০টি। প্রতিদিনই ১০ থেকে ২০টি আবেদন জমা হচ্ছে। যারা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন তারা আবেদন করলে এর পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করবে একটি কমিটি।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মারা গেলে বিধিমালা অনুযায়ী ভুক্তভোগীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। আর দুর্ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গহানি হলে ভুক্তভোগী তিন লাখ টাকা সহায়তা পাবেন।