শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
Logo অপরাধীদের প্রতি কোনক্রমেই নমনীয় হবে না পুলিশ: সিটিটিসি প্রধান Logo সচিবালয়ে আগুন নিয়ে নৌবাহিনী সদস্যের বক্তব্য তার ব্যক্তিগত: আইএসপিআর Logo স্বর্ণ চোরাচালান: চট্টগ্রামে রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ জব্দ Logo সেনাসদর পরিসংখ্যানগতভাবে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়নি, ‘তবে অনেক ঘটনা ঘটছে’ Logo উত্তরা থেকে বিপুল পরিমাণ আতসবাজি জব্দ,গ্রেফতার ২ Logo চট্টগ্রামে বিমানের সিটের নিচে মিলল আড়াই কেজি স্বর্ণ Logo তরুণ স্বপ্নে রূপান্তর: ভিডিপি’র প্রশিক্ষণে নতুন ধারা Logo ফায়ার ফাইটার নিহতের ঘটনায় ব্যর্থতা স্বীকার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার Logo সচিবালয়ের অগ্নিদুর্ঘটনায় নিহত ফায়ারফাইটার নয়নের জানাজা সম্পন্ন Logo ফায়ার ফাইটার নিহতের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা

সেনাসদর পরিসংখ্যানগতভাবে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়নি, ‘তবে অনেক ঘটনা ঘটছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা / ৩ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮:২৫ অপরাহ্ন

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিসংখ্যানগতভাবে অবনতি না হলেও অনেক ঘটনা যে ঘটছে তা নজরদারিতে রেখেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। পুলিশসহ অন্য বাহিনীগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে তারা কাজ করছে বলে জানিয়েছে সেনাসদর।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশন্সের পরিচালক কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান।

দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা দিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এর আগে গত ১৩ ও ২৮ নভেম্বর দুই দফা সংবাদ সম্মেলন করে সেনাসদর।

গত ২৯ নভেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে বলা হয়েছে, এই ৪ সপ্তাহে সেনাবাহিনী ২৮টি অবৈধ অস্ত্র এবং ৪২৪ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। এই সময়ে বিভিন্ন শিল্প কারখানায় ৬৭টি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রেখেছে সেনাবাহিনী। শিল্পাঞ্চল ছাড়াও গত এক মাসে ৪৫টি বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এক মাসে ২০০ মাদক কারবারিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১৪০৫ জনকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনীর সদস্যরা।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গত ২০ জুলাই থেকে মাঠে থেকে কাজ করছে সেনাবাহিনী। ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে সশস্ত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব পদবির কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়েছে সরকার। এই সময়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সেনাবাহিনীর ১২৩ জন সদস্য হতাহত হয়েছেন। মারা গেছেন একজন।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাওয়া হলে কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, পরিসংখ্যানগতভাবে অবনতি হয়নি। তবে অনেক ঘটনা ঘটছে। যা আমাদের নজরদারিতেও আছে। পুলিশ কাজ করছে। আমরাও কাজ করছি। এলাকাভেদে আমাদের সমন্বয় সেল আছে। যেখানে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো নিয়মিতভাবে সমন্বয় করে। সেনাসদর এবং উপদেষ্টামন্ডলী পর্যায়ে এই সমন্বয় হয়।

সেনাবাহিনী দুই ধরনের অপারেশন চালাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, যেসব হুমকি উঠে আসে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করে পরবর্তী সময়ে কী হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এবং কার্যক্রম গ্রহণ হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ কাজ করছে। সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ক্যাম্পে যারা আছেন তারাও কাজ করছে। সাধারণত দুই ধরনের অপারেশন করা হয়। কিছু টার্গেটেড। যেখানে আমরা তথ্য পাই। সেসব তথ্য নিয়ে কিছু এরেস্ট করা হয়েছে।

‘এর বাইরে অনেক সময় ঘটনার রিপোর্ট আমরা পাই, সেখানেও তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এ ধরনের অপারেশনে ঢাকা থেকে অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করতে পারবো কি না, আমরা তা বলি না। কিন্তু একটি সহনশীল পর্যায়ে রাখতে আমাদের প্রচেষ্টা রয়েছে।’

সেনাবাহিনী আরও কতদিন মোতায়েন থাকবে জানতে চাইলে ইন্তেখাব হায়দার বলেন, সেনাবাহিনী মোতায়েন হয়েছে সরকারের সিদ্ধান্তে। সরকারের সিদ্ধান্তেই প্রত্যাহার করা হবে। কতদিন থাকা দরকার সেটার বিচার সরকার করবে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী কোনো চাপ অনুভব করছে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজটা সহজ না। বিভিন্ন ধরনের হুমকি আছে। রুটিন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চাপ নেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষিত করা হয়। সেই ধরনের চাপ আমাদের নেই। তবে হ্যাঁ, অনেক ধরনের আনসার্টেনিটি আছে। বিভিন্ন ধরনের পরিস্থিতি বিভিন্ন সময় ডেভেলপ হচ্ছে। আমরা সেগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থাগুলোর সঙ্গে মিলে কাজ করে যাচ্ছি। যেন দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সহনশীল পর্যায়ে থাকে।

মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ সীমান্তে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে কি না- এমন প্রশ্নে এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, দেশের সার্বভৌমত্বে নিরাপত্তার ঝুঁকি এই মুহূর্তে ওইরকম দেখছি না। কক্সবাজার এলাকায় যারা নিয়োজিত আছে, তারা সবসময় তৎপর। আমাদের সঙ্গে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, বিজিবিসহ অন্যরা কাজ করছে। সবার সঙ্গে সমন্বয় আছে। যদি কোনো ধরনের ঝুঁকি ডেভেলপ করে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা সদা প্রস্তুত আছি।

নতুন করে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর সরাসরি কার্যক্রমের প্রয়োজন এখনো হয়নি। বিজিবি, কোস্টগার্ড ও সরকারের অন্য সংস্থাগুলো কাজ করছে। সম্প্রতি বেশকিছু রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। তাদের নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি ওইসব সংস্থা দেখছে।

সম্প্রতি চাঁদাবাজিতে হাতবদল হয়েছে বলে অভিযোগ আসছে। চাঁদাবাজদের তালিকা ধরে সেনাবাহিনী কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে কি না জানতে চাইলে মিলিটারি অপারেশন্সের পরিচালক বলেন, আমরা আলাদা কোনো তালিকা করে কাজ করছি না। তালিকা একটাই। সরকারের পক্ষ থেকে সমন্বিতভাবে কাজ করা হচ্ছে।

ডিআই/এসকে


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category