সংগ্রামের গল্প: ভোলার সন্তান আব্দুল্লাহ আল মামুন তালুকদার একজন নেতা, একজন স্বপ্নদ্রষ্টা
ভোলার সদর উপজেলার কাঠালী গ্রামের সন্তান আব্দুল্লাহ আল মামুন তালুকদার। জন্ম ১৯৭৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। সংগ্রাম, সাহস এবং সমাজের প্রতি অবদান রেখে তিনি আজ বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে পরিচিত। কিন্তু তার এই যাত্রা কখনোই সহজ ছিল না।
মায়ের লাশ দাফন এবং প্রতিহিংসার শিকার
মামুন তালুকদারের জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় ছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। সেই সময়ে তার ওপর নেমে আসে একের পর এক বিপর্যয়। সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনা ছিল তার মায়ের মৃত্যুর পর। ভোলার মাটিতে মায়ের লাশ দাফন করার অধিকার থেকেও তিনি বঞ্চিত হন। স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা তোফায়েল আহমেদের প্রতিহিংসার কারণে তাকে মায়ের মরদেহ ঢাকায় নিয়ে গিয়ে উত্তরা মধুবাগ কবরস্থানে দাফন করতে হয়।
এখানেই শেষ নয়। তোফায়েল আহমেদের নির্দেশে সম্ভুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলু দেওয়ান এবং উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন তার জমি-জায়গা দখল করেন। এমনকি তিনি একাধিকবার হত্যার হুমকিও পান। কিন্তু এসব অন্যায় অত্যাচারের মুখেও তিনি সাহস হারাননি।
সাফল্যের পথে যাত্রা
মামুন তালুকদারের সংগ্রামকে স্বীকৃতি দিয়ে জাতীয় পার্টির আব্দালিব রহমান পার্থ তাকে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ দেন। এই পদে আসীন হয়ে তিনি যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখার জন্য খেলাধুলার প্রতি আকৃষ্ট করতে কাজ শুরু করেন। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে পড়াশোনার সময় থেকেই তিনি যুবকদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করতেন। তার এই প্রচেষ্টা ভোলার যুবসমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে।
স্বপ্ন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
তার স্বপ্ন প্রতিটি জেলায় “নাজিউর রহমান মঞ্জু স্মৃতি সংঘ” নামে একটি করে ক্লাব গঠন করা। অভিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র মঞ্জু সাহেবের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই উদ্যোগটি তিনি নিতে চান। এই ক্লাব যুবসমাজকে মাদক থেকে দূরে রেখে খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করবে এবং তাদের জীবনে গঠনমূলক পরিবর্তন আনবে।
ব্যক্তিগত জীবন
অবসর সময়ে বই পড়া এবং টিভি দেখা তার প্রিয় শখ। এলাকার মানুষের ভালোবাসাকে তিনি জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন বলে মনে করেন।
আব্দুল্লাহ আল মামুন তালুকদার শুধু একজন রাজনীতিক নন, তিনি ভোলার মানুষদের জন্য আশার আলো। তার সংগ্রামের গল্প এবং স্বপ্ন একদিন তার গ্রাম থেকে শুরু করে পুরো দেশকে অনুপ্রাণিত করবে।