জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের ৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। সোমবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম যাচাই বাছাই শেষে ঋণ খেলাপীর অভিযোগে জাতীয় পার্টির নেতা, সাবেক স্বাস্থ্য সচিব এম এম নিয়াজ উদ্দিন ও গাজীপুর -৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলম আহমেদ ও পৌর কর না দেয়ায় গাজীপুর -৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমজাদ হোসেনের মনোনয়ন পত্র বাতিল ঘোষণা করেন। এছাড়া আওয়ামী লীগ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৪১ জন প্রার্থীর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তার আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে ৪৪ প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তাদের মধ্যে রোববার গাজীপুর-১ , গাজীপুর-২ ও গাজীপুর-৩ আসনের ২৭ জন প্রার্থীর দাখিল করা কাগজ পত্র যাচাই বাছাই করা হয়। পরে এসব প্রার্থীর মধ্যে ২৬ জনের প্রার্থিতা বৈধ এবং ঋণ খেলাপীর অভিযোগে জাতীয় পার্টির এম এম নিয়াজ উদ্দিনের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়। সোমবার গাজীপুরে -৪ ও গাজীপুর -৫ আসনের প্রার্থীদের তথ্য বাচাই বাছাই
করা হয়। যাচাই বাছাই শেষে ঋণ খেলাপীর অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলম আহমেদ ও পৌর কর না দেয়ায় আমজাদ হোসেনের মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যাচাই বাছাই শেষে তিনজন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হওয়া এখন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের ৫টি সংসদীয় আসনে মোট ৪১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সট : আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম
জেলা প্রশাসক, গাজীপুর।
নির্বাচনে প্রার্থীতা বৈধতা ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়ায় প্রার্থীরা অবাধ ও সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করেন প্রার্থীরা।
নির্বাচনের তফসিল সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি হবে ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর। ৫ জানুয়ারি প্রচার শেষ করে ৭ জানুয়ারি ভোট। গাজীপুরের ৫টি আসনে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ২৬ লাখ ১৩ হাজার ৬২৯। তাদের জন্য মোট ভোট কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৩৫টি।