বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের চলতি বছরের জুন মাসের তথ্য মতে, ২৬৫ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১২৬ জন কন্যা এবং ১৩৯ জন নারী রয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৩৩ জন কন্যাসহ ৫৩ জন। তার মধ্যে ৫ জন কন্যাসহ ১৩ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ২ জন কন্যাসহ ৩ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়াও ৭ জন কন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ১২ জন কন্যাসহ ১৫ জন। উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে ৯ জন কন্যা। এর মধ্যে উত্ত্যক্তকরণের কারণে আত্মহত্যা করেছে ২ জন কন্যা। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে ১ জন কন্যাসহ মোট ৫ জন। এর মধ্যে ১ জন নারীর মৃত্যু হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১ জন কন্যাসহ ১৩ জন। এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যার শিকার হয়েছে ৫ জন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১১ জন কন্যাসহ ২৯ জন। পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৫ জন। বিভিন্ন কারণে ৭ জন কন্যাসহ ৫০ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
এ ছাড়াও ১ জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ৭ জন কন্যাসহ ২০ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ১০ জন কন্যাসহ ২০ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে, এর মধ্যে ১ জন আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছে। ১০ জন কন্যাসহ ১১ জন অপহরণের ঘটনার শিকার হয়েছে। ফতোয়ার শিকার হয়েছে ১ জন কন্যাসহ ২ জন। ২ জন কন্যাসহ ৩ জন সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে। বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে ১টি এবং বাল্যবিবাহের চেষ্টা করা হয়েছে ৫ জন। গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২ জন কন্যা এবং এর মধ্যে ১ জন কন্যা আত্মহত্যা করেছে। এ ছাড়া ৬ জন কন্যাসহ ১৪ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।