“আলাউদ্দিনের চেরাগ” আগেই রাঘব বোয়ালদের ঘরে ঢুুকে পড়ায় সম্ভবতঃ জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ঢাকা সার্কেলের প্রকৌশলী জাকির হোসেনের ঘরে “আলাউদ্দিনের বউয়ের চেরাগ” ঢুকেছে। আর তারই ছোয়ায় পাওয়া বিত্তবৈভবের চাকচিক্যে তিনি সম্প্রতি আলোচনা-সমালোনার ঘোরে পড়েছেন বলে নানা জনের নানা মত রয়েছে।
তবে ঘুষ-ঘাস আর অবৈধ পন্থা ছাড়া ‘চেরাগের ছোয়া’ বা অদৃশ্য বৈধ উপয়ে তার ওই সদরে-গোপনে রাখা সম্পদ অর্জনের সাফাই বয়ানের বাইরের সাদা চোখের দৃশ্যপট ভিন্ন । কারণ তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা। তাও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের। আরো একজন তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বলে কথা। যেখানে ফাইল ছুটানোর খরচ নামের ওই ঘুষÑঘাস উড়ে বেড়ায়। যে চায় তাকেই ধরা দেয়। প্রকৌশলী জাকির হোসেন তাদের মধ্যে অন্যতম একজন বলে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ঢাকা সার্কেলে প্রায় সর্বজনবিদিত।
প্রকৌশলী জাকির হোসেন বসুন্ধারা আবাসিক এলাকায় পাঁচ কাঠার একটি প্লটের মালিক। যার বাজার মূল্য কম হলেও কয়েক কোটি টাকা। শরীয়তপুরের জাজিরায় ছায়াবিথি সমিতিতে অর্ধকোটি টাকার ১০ শতকের প্লট। রাজবাড়ী বালিয়াকান্দিতে দেড় একরের বেশী সম্পদ। আর কিশোরগঞ্জের ভৈরব নিউমার্কেটের কোটি টাকা দামের ৯৭ নম্বর দোকানটি প্রকৌশলী জাকিরের শশুর তার স্ত্রীকে দান করেছেন । এছাড়াও তার স্ত্রীর নামে রয়েছে,মাইসা ডেইরী ফার্ম,আবির মৎস্য খামার,তাহমিদ নার্সারীসহ বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সব মিলে তার নামে-বেনামে সম্পদের পরিমান রীতিমত সবাইকে হতবাক করা সম্পদ অর্জনের মূল সুড়ঙ্গ ফাইল
আটকে ঘুষ আদায়সহ নানা অনিয়ম। বেশ লম্বা সময় ধরে তিনি সার্কেলে বসে দক্ষ কারিগরের মত ফাইল
আটকের প্রায় স্বীকৃত ঘুষবাজিসহ দায়িত্বের নামে অবৈধ সুবিধা নিয়ে মালিক হয়ে অঢ়েল সম্পদের। গুছিয়ে নিয়েছেন আয়েশী জীবনের সব কিছু আর অবৈধ সুবিধার বদৌলতে যুগিয়েছেন শক্ত-পোক্ত দেখভালকারি দালাল সিন্ডিকেট। যাদের আস্কারায় এখনো তিনি স্বপদে,স্বীয় কায়দায় নিরাপদে বহাল।
এসব বিষয়ে জানার জন্য তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জাকির হোসেনের সাথে টেলিফোনে কথা বলতেই তিনি অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন ও জিডি, মামলার হুমকি দেন। সেই সাথে কেউ বা কারা তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের এসব অভিযোগ তুলে অবৈধ সুবিধা আদায়ের চেস্টা করছেন বলেও জানান।