পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালীর ছোটবাইশদিয়া ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান’র বিরুদ্ধে ভিজিএফ মৎস্য চাল বিতরণে অনিয়ম, আত্মসাৎর বিষয়ে একাধিক দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন উক্ত পরিষদের সচিব।তাছাড়াওউক্ত অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছেএ সচিবের সাথে একই পরিষদের দফাদারের উদ্বতপূর্ন আচরন করার কথা।উক্ত অভিযোগ পত্রওসুত্রে জানা গেছে,গত১৮অক্টোবর বুধবার সকাল১০টায় ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নপরিষদের সংশ্লিষ্টদের সহায়তায় চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাঙ্গাবালী উপজেলা খাদ্য গোডাউনের সম্মুখে বসে ভিজিএফ মৎস্য চাল বিতরণ শুরু করা হয়।উক্ত চাল বিতরণের এক পর্যায়ে কিছু সংখ্যক কার্ডধারী জেলে উক্ত খাদ্য গোডাউনের সম্মুখে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও তালিকার সকল জেলের নামের বরাদ্দ হয়েছে মর্মে প্রচার করেএ দিন দুপুর২টার সময় চেয়ারম্যানের একক সিদ্ধান্তে এ চাল বিতরণ বন্ধ করে দেওয়া হয়।কারণ উপস্থিত ট্যাগ অফিসার শেষের দিকে উক্ত চাল বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত না থাকায়। তখনএপরিষদের সচিব উক্ত খাদ্য গোডাউন থেকে সন্নিকটস্থ৩নং ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদে পায়ে হেটে চলে আসার সময় অনেক কার্ডধারী জেলে চালের জন্য তাঁর কাছে অনুনয়-বিনয় করলে তিনি তাদের চেয়ারম্যানের নিকট যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয়।পরে সচিব পরিষদ হয়ে নিকটস্থ বাজারের হোটেলে দুপুুরের খাবার খেতে যায়।এরপর তিনি ভাত খেয়ে পরিষদেএসে স্টক রেজিস্ট্রার লিপিবদ্ধ করার জন্য চাল বিতরণের বিষয় চেয়ারম্যান ও দফাদারের নিকট বিস্তারিত জানতে চেয়ে আইনগত অগ্রহণযোগ্য তথ্য না পেয়ে রাঙ্গাবালী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (অ,দা)ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মুঠোফোনে তাৎক্ষণিক ঠিক দুপুর২টা৫৩মিনিটের সময় কল দেয় সে চাল বিতরণের অনিয়মওআত্নসাতের বিষয়টি নিশ্চিত হয়।এসময় উক্ত পরিষদের সচিব কেএ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক(অ,দা)ফোন আলাপে জানায় প্রথমে১২৬০বস্তা চাল গোডাউন থেকে নামানো হয়েছে।পরে আরো৯৭ বস্তা চাল নামানো হয়েছে।এতে এসময় সর্বমোট ১২৬০+৯৭=১৩৫৭ বস্তা চাল(৩০কেজির বস্তার)যার সর্বমোট পরিমাণ হয়৪০৮০০কেজি চাল।কিন্তু ভিজিএফ মৎস্য চালের ডিও হয়েছে এপরিষদের ৫০,২০০ টন,অর্থাৎ৫০২০০ কেজি চাল।পরবর্তীতে সচিব উক্ত দফাদাকে আবারও বিষয়টি অবগত করলে সে অস্বীকার করলে সচিব তাঁর ফোনের রেকর্ড শুনালে দফাদার অগ্নিশর্মা হয়ে উঠে এবংসচিব কে বলেন ” আপনি কি সাংবাদিকের ভূমিকা নিলেন নাকি” উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক(অ,দা)এর নিকট ফোন দেন।”এরকম সে তাদের মত৮-১০সচিব দেখেছি”পরে সচিব তাঁর কক্ষে দাপ্তরিক কাজ করতে থাকেন।এর কিছুক্ষন পর কিছু সংখ্যক অজ্ঞাত লোক পরিষদের সম্মুখে এসে সচিব কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধরের হুমকি দেয়।এসময়ে শুধু মাত্র দফাদার ওসচিব পরিষদে ছিলেন।এসময় অবস্থা বেগতিক দেখে অন্য কোন উপায়ন্ত না পেয়ে সচিব চেয়ারম্যানের পূর্ব নির্দেশ মোতাবেক পরিষদের দফাদারের হাতে অফিসের চাবী দিয়ে তিনি দ্রুত পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।এসময় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাগান্বিত অবস্থায় কার সাথে যেন ফোনে আলাপ ওপায়চারী করছিলেন।এছাড়াও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের যোগসাজসে দফাদারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অভিযোগও রয়েছে বলে উক্ত অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেছেনএ সচিব।এছাড়াও সুত্রে জানা গেছে,১৮অক্টোবর বুুুধবার দুপুরের পরে রাঙ্গাবালী উপজেলা খাদ্য গোডাউনের সামনে ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের কোনও জেলে কে দেখাএবং চাল বিতরণের খবর পাওয়া যায়নি।তাছাড়া১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ও ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ও রাঙ্গাবালী খাদ্য গোডাউনের সামনে থেকে উক্ত পরিষদের ভি জিএফ মৎস্য চাল বিতরণ করার খবর পাওয়া যায়নি।এমনকি এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপরোক্ত হিসাব অনুযায়ী অবশিষ্ট চাল এ ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউনে স্টক করা হয়েছে সে খবর ও পাওয়া যায়নি।সুত্রে আরও জানা গেছে,এপরিষদের সচিব উক্ত বিষয় নিয়ে নানা দপ্তরে অভিযোগ পত্র দেয়ার পরে তিনি আত্নংকে আছেন বলে সুত্রে জানা গেছে।