যশোর সদর উপজেলার ১৫ নং বসুন্দিয়া ইউনিয়নের, বসুন্দিয়া গ্রামের মৃত আঃ সামাদ শেখের পুত্র শেখ জিয়া ও তার বড় ভাই শেখ বাহারুল বায়নাকৃত জমি রেজিষ্ট্রি না করে দিয়ে প্রতিনিয়ত ক্রেতার সাথে প্রতারণা করছে।
ঘটনা সুত্রে জানা যায় যে,শেখ জিয়া পৈত্রিক সুত্রে জমির মালিক হওয়ায় ৪৭১ নং খতিয়ানের ৪৯৬১ নং দাগের ১১৩ শতকের মধ্যে ০৬ শতক জমির মোট মূল্য ৫,৭৫,০০০/-(পাঁচ লক্ষ পঁচাত্তর হাজার) টাকা, উল্লেখ্য:চৌহদ্দি উল্লেখ করে বিক্রয় করিতে চাইলে একই ইউনিয়নের কেফায়েত নগর গ্রামের মোঃ শুকুর আলীর বড় পুত্র মোঃ রমজান আলী ক্রয় করতে আগ্রহী হয়।গত০৪/০৪/২০২৩ তারিখে জমির মালিক শেখ জিয়া ও তার আপন বড় ভাই স্থানীয় লোকজন কে সাক্ষী রেখে একটি বায়না চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর প্রদানের মাধ্যমে জমির চৌহদ্দি উল্লেখ করে ০৬ শতক জমির মোট মূল্য ৫,৭৫,০০০/-( পাঁচ লক্ষ পঁচাত্তর হাজার) টাকার মধ্যে এককালীন ১,৫০,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা ক্রেতা মোঃ রমজান আলীর নিকট থেকে গ্রহণ করে।বায়না পত্রে আরও উল্লেখ থাকে যে,০৩/০৭/২০২৩ ইং-তারিখে জমির বকেয়া ৩,২৫,০০০/-টাকা ( তিন লক্ষ পঁচিশ হাজার) টাকা নগদ ও ১,০০০০০/-( এক লক্ষ) টাকা(০৬) মাস পর উত্তোলন করতে পারবে এমন শর্তে একটি ব্যাংক চেক গ্রহণ করিয়া যশোর সদর উপজেলা সাব-রেজিষ্টার অফিসে গিয়ে বায়নাকৃত জমি রেজিষ্ট্রি করিয়া দিবে।বায়নাকৃত জমিতে আখের ফসল থাকার কারণে যথাসময়ে রেজিষ্ট্রি না করে দিয়ে পর্যায়ক্রমে সময় নেয় এবং এর মধ্যে তিন ধাপে ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার)টাকা করে আর ও ১,৫০,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা সর্বমোট ৩,০০০০০/- (তিন লক্ষ)টাকা নগদ গ্রহণ করে।আখের ফসল উঠে যাওয়ার পরেও চৌহদ্দি উল্লেখ অনুযায়ী জমি রেজিষ্ট্রি না করে দিয়ে সেই জমিতে পুনরায় গম চাষ করে।বর্তমানে জমির বাজার মূল্য বেশি হওয়ার কারণে বিক্রেতা জমি না দেওয়ার মতলব করে এবং বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে। বর্তমান ক্রেতা মোঃ রমজান আলীকে প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে।গত ১৭/০২/২০২৩ ইং- তারিখে মোঃ রমজান আলী জমির মালিক শেখ জিয়া ও তার বড় ভাই শেখ বাহারুল কে জানায় যে আপনারা আমার জমি রেজিষ্ট্রি করে না দিলে আমি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো।এই কথা শোনার পর ১৮/১২/২০২৩ ইং- তারিখে বাহারুল ইসলাম ১৫ নং বসুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদে একটা অভিযোগ দায়ের করে। ১৫ নং বসুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম খান রাসেল বাদী ও বিবাদী উভয় পক্ষকে মীমাংসা করে দেওয়ার লক্ষ্যে ২৪/১২/২০২৩ তারিখে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।যথাসময়ে উভয়পক্ষ হাজির হলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে চেয়ারম্যান সাহেব পরবর্তী সময় নির্ধারণ করে দেন।নির্বাচনের পর চেয়ারম্যান সাহেব বাদী,বিবাদী ও সন্মাণিত ব্যক্তিবর্গ কে নিয়ে শালিস বৈঠকে বিস্তারিত শোনেন এবং জমির বায়নাপত্রটি পড়েন।জমির মালিক বলে, জমি চৌহদ্দি অনুযায়ী জমি দেবো না, একই দাগের পূর্ব দিকের শেষ দিক থেকে জমি দেবো।এদিকে জমি ক্রেতা মোঃ রমজান আলী জানায় আমি চৌহদ্দি অনুযায়ী জমি ক্রয় করেছি,আমি চৌহদ্দি অনুযায়ী জমি নেবো।মোঃ রমজান আলী আরও জানায় জমির দাম বর্তমানে বাজার মূল্য বেশি হওয়ার কারণে বিক্রেতা আমার সাথে প্রতারণা করছে।এমতাবস্থায়: চেয়ারম্যান সাহেব বায়নাকৃত জমির বর্তমান বাজার মূল্য যাচাই করে জানার জন্যে উপস্থিত ব্যাক্তিবর্গের মধ্য থেকে ক্রেতার পক্ষ থেকে দুই জন (১) ইমরুল শেখ (২)নজরুল ইসলাম(কাঠ ব্যবসায়ী),বিক্রেতার পক্ষ থেকে দুই জন (১) আজিজার মোল্যা (২) হক শেখ এবং চেয়ারম্যান সাহেবের পক্ষ থেকে দুই জন (১) আতিয়ার রহমান পঁচা মেম্বার (২)সুপ্ত মেম্বার সর্বমোট ছয় (০৬) সদস্য বিশিষ্ট একটা টিম গঠন করেন এবং তিন দিনের মধ্যে ফলাফল জানানোর কথা বলেন।টিম সদস্য গণ বায়নাকৃত জমি সরেজমিনে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন এবং পর্যবেক্ষণ করার পর ২৫-২৬ দিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরও জমি বিক্রেতা ও তার পক্ষে টিমে থাকা দুই জন কোন ফলাফল জানায় নি।এমন কি চেয়ারম্যান সাহেব কে কোন কিছু না জানিয়ে বিক্রেতা শেখ জিয়া ০৬ শতক জমি বিক্রয় করার জন্যে বসুন্দিয়া BRTC কাউন্টারের পরিচালক: জব্বারের নিকট পুনরায় একটা বায়না চুক্তিপত্র করে।এ বিষয়টি ক্রেতা মোঃ রমজান আলী যে কোন উপায়ে জানতে পারে এবং তাৎক্ষণিক তার পক্ষে ০৬ সদস্য বিশিষ্ট টিমে থাকা দুই (০২) জনের মাধ্যমে চেয়ারম্যান সাহেবকে বিষয়টি অবগত করেন।চেয়ারম্যান সাহেব বিষয়টি জানার পর টিম টি ভেঙে দেন এবং মোঃ রমজান আলীকে জানায় আপনার যেহেতু বায়না চুক্তিপত্র আছে সেহেতু যেটা করলে ভালো হয় আপনি সেই টা করেন।তখন নিরুপায় হয়ে ক্রেতা মোঃ রমজান আলী আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ১২/০২/২০২৪ ইং তারিখে যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় হাজির হইয়া জমি বিক্রেতা শেখ জিয়া ও তার বড় ভাই শেখ বাহারুলের বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ দায়ের করেন।থানায় অভিযোগ করার একদিন পর ১৩/০২/২০২৪ তারিখে বিক্রেতা শেখ জিয়া ও তার বড় ভাই শেখ বাহারুল চেয়ারম্যান সাহেবের মাধ্যমে ক্রেতার পক্ষে থাকা দুই জন (১) ইমরুল শেখ ও (২) নজরুল ইসলাম(কাঠ ব্যবসায়ী)কে জানায় ক্রেতা মোঃ রমজান আলী কে বায়নাকৃত ৩,০০০০০/-( তিন লাখ) টাকার সাথে অতিরিক্ত ১,০০০০০/- ( এক লাখ) টাকা দিয়ে সর্বমোট ৪,০০০০০/-( চার লাখ) টাকা ফেরত দেওয়ার কথা জানায়।ক্রেতা মোঃ রমজান আলী জানায় আমি টাকা ফেরৎ নিবো না,যেহেতু আমি জমি ক্রয়ের জন্য টাকা বায়না-পত্র করেছি,সেহেতু আমি জমি ই নিবো।