ওই সেই কথা,“সর্বাঙ্গে ব্যথা,মলম দিবে কোথা কোথা”। আর এ কথাটি নাম না প্রকাশের শর্ত সাপেক্ষে বলেছিলেন,বিআরটিএ’র জনৈক কর্মকর্তা। তাও প্রায় বছর খানেক আগে এবং বিআরটিএ’র খোদ সদরের একটি সিন্ডিকেটের অনিয়ম সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে। আর সেই থেকে অদ্যবদি তার ব্যথাহীন অঙ্গ খুঁজতে গিয়ে সেই “ব্রাহ্মনের না শোনা মন্ত্রের” মত কেউ না শুনুক বা না দেখুক চলে খুড়াখুড়ি,ঘেটাঘেটি। তাতে একে একে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত দেখা মেলে তার (ওই কর্মকর্তা) আক্ষেপের ভরে বলা ওই কথার প্রাসঙ্গিকতা। মানে-খোঁজ মেলে স্ব-স্ব জায়গায় প্রতিযোগিতার আদলে ধান্ধাবাজির অন্যতম নিরাপদ আস্তানার লোহর্ষক সব অনিয়ম-দুর্নীতি আর সব দুর্নীতিবাজ অপরাধীর। আর এ পথে মেলা এবার বিআরটি’র সদর বা ঢাকার সার্কেল নয়, বিভাগের নারায়নগঞ্জ সার্কেলের এক উচ্চ পদস্থ ক্ষমতাধর কর্মচারীর কর্মবৈচিত্রের আশির্বাদে নিজেকে টাকার কারিগর বানানোর রকমফের। ওই কর্মচারীর নাম এসএম জুবায়ের আহম্মদ। তিনি বিআরটিএ’র নারায়নগঞ্জ সার্কেলের উচ্চমান সহকারী পদে কর্মরত থাকলেও মূল জনৈক এডি (সহকারী পরিচালকের) পিএস হিসেবে অধিক সমাদৃত। দায়িত্বশীল পদ ও চাকরির বয়স তুলনামূলক নগন্য হলেও টাকা কামানো আর অর্থবিত্তের চাকচিক্যে তিনি এখন বিআরটি’র উচ্চপদস্থ কর্মচারীর তকমায় দাপটশালীও বটে। এ অল্প সময়ের মধ্যে তিনি ওই বিআরটিএ’র এ অভয়ারন্যে বসেই বরিশাল,না’গঞ্জসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দামি বাড়ি,ফ্ল্যাট,প্লটের মালিক হয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনার-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু বনেছেন বেশ আগেই। তারপরও তিনি রহস্যজনকভাবে রয়েছেন সম্পূর্ন নিরাপদে এবং বহালতবিয়্যতে। তার নামে-বেনামে অর্জিত সম্পদের ফিরিস্তি বিেিবচনায় তা রীতিমত বিগত সময়ের দুর্নীতির দায়ে কারারুদ্ধ থাকা স্বস্থ্যের মালেকসহ সম্প্রতিক কালের সমালোনার তুঙ্গে থাকা দুর্নীতিবাজদের কারো চেয়ে কম নয়। তার এ সময়ের মধ্যে অর্জিত সম্পদের পরিমানের সদরে-গোপনের নমুনায় অর্জনের উপয় অনেকটাই স্পষ্ঠ যে সোজা পথে এত ছোট পদে চাকরি করে এত সম্পদ অর্জন কিছুতেই সম্ভব নয়। অবশ্যই দুর্গম ও হরেক রঙ্গের সুবিধাভোগী রক্ষাকবজের নিরাপত্তায় মোড়া না’গঞ্জ সার্কেলের রক্তচোষা ফেল-পাস ‘গ্যাড়াকল’র টাকা হাতানোর যে কোন সুবিধাজনক অঙ্গে বসে চালিয়েছেন ঘুষবাজি। সেই সাথে নির্বিঘ্ন দালাল বাণিজ্য। তবে সম্পদ অর্জনের পথ সে যাই হোক,এটা দেখার আগে তিনি একজন উচ্চমান সহকারী হয়ে স্বল্প সময়ে ঢের সম্পদ যোগানোর বিষয়ে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য দ্বারস্থ হতে হয় সংশ্লিস্ট কতিপয় কর্মচারী-কর্মকর্তার। নাম না প্রকাশ করার শর্তে সারসংক্ষেপে তারা জানান, উচ্চমান সহকারী এস এম জুবায়ের আহম্মদ এ অল্প কয়েক দিনে নারায়নগঞ্জ সার্কেল থেকে যা করেছে, গোটা বিআরটিএ’র অনেক বড় কর্মকর্তার পক্ষেও তা সম্ভব নয়। যদিও তাকে সংশ্লিস্ট দেখভালকারীসহ বহিরাগত বাগড়ার নিয়োমিত খরচ যুগিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হয়েছে। এব্যাপারে বিভাগীয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ’র কাছ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।তবে উচ্চমান সহকারী জুবায়ের আহম্মদের কাছে এ ব্যাপারে জানার জন্য টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ সব তথ্য পুরোপুরি সত্য নয় বলে জানান। তাছাড়া তিনি তার উপরোস্থ কর্মকর্তার উপর দায় চাপিয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। এরপর.